হ্যাকিং:
হ্যাকিং হল অনৈতিকভাবে কোনো কম্পিউটার, নেটওয়ার্ক বা ইলেকট্রনিক ডিভাইসের নিরাপত্তা ভেঙে তথ্য চুরি বা ক্ষতি করার প্রক্রিয়া। এটি সাধারণত অপরাধমূলক উদ্দেশ্যে করা হয়, যেমন ব্যক্তিগত তথ্য চুরি, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খালি করা, বা ব্যবসায়িক গোপনীয়তা ফাঁস করা।

সুরক্ষিত থাকতে করণীয়:

দৃঢ় পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন: সবসময় জটিল এবং অনন্য পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন যা সংখ্যা, বিশেষ অক্ষর এবং বড় হাতের অক্ষর ধারণ করে।

দ্বিস্তরীয় প্রমাণীকরণ চালু করুন: অনলাইন অ্যাকাউন্টগুলিতে দ্বিস্তরীয় প্রমাণীকরণ (Two-Factor Authentication) সক্রিয় করে রাখুন। এটি পাসওয়ার্ডের পাশাপাশি একটি অতিরিক্ত নিরাপত্তা স্তর যোগ করে।

নিয়মিত সফটওয়্যার আপডেট করুন: আপনার ডিভাইসের অপারেটিং সিস্টেম এবং অন্যান্য সফটওয়্যার নিয়মিত আপডেট করুন। নতুন আপডেটগুলিতে প্রায়শই নিরাপত্তা উন্নতি থাকে যা হ্যাকারদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরি করে।

অপরিচিত লিঙ্ক ও ইমেইল এড়িয়ে চলুন: অপরিচিত বা সন্দেহজনক লিঙ্কে ক্লিক করবেন না এবং অচেনা প্রেরকের ইমেইল ফাইল ডাউনলোড করবেন না। এগুলোতে ম্যালওয়্যার থাকতে পারে যা আপনার ডিভাইসে ক্ষতি করতে পারে।

ভালো মানের অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করুন: একটি বিশ্বাসযোগ্য অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ইনস্টল করুন এবং এটি সর্বদা আপডেট রাখুন। এটি ম্যালওয়্যার, স্পাইওয়্যার, এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক প্রোগ্রামগুলির বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রদান করবে।

সর্বদা সতর্ক থাকুন: ইন্টারনেটে ব্রাউজ করার সময় বা অনলাইন ক্রিয়াকলাপের সময় সর্বদা সচেতন থাকুন। যেকোন অস্বাভাবিক কার্যকলাপ লক্ষ্য করলে সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ নিন।

শেষ কথা:
হ্যাকিং এর শিকার হওয়া থেকে বাঁচতে প্রয়োজন সজাগ দৃষ্টি, সঠিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা, এবং সুরক্ষিত অনলাইন অভ্যাস। প্রযুক্তি যতই উন্নত হচ্ছে, হ্যাকারদের কৌশলও ততই জটিল হচ্ছে, তাই আমাদেরও থাকতে হবে সচেতন এবং প্রস্তুত।