শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে দেশের বিভিন্ন সমাজের প্রতিনিধি নিয়ে ১৭ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদ নিয়ে গঠন করা হলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তবে এই সরকারের মেয়াদ কতদিন হবে তা নিয়ে স্পষ্ট কোনো বার্তা দেয়া হয়নি। অভূতপূর্ব ইতিহাস তৈরি এই সরকারে রাখা হয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ককে। ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে শপথ পাঠ করা ওই দুই সমন্বয়ক হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ। তাদের দু'জনে কাজে জনগণের আশা আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলম।
নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদকে অভিনন্দন জানিয়ে সারজিস লিখেন, এটা যেমন তাদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ একটি অর্জন তেমনি দেশের মানুষের স্বার্থে স্যাক্রিফাইসও বটে। কারণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে থাকার কারণে সামনের ইলেকশনে তারা অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
গত বৃহস্পতিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এ অভিনন্দন জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এ সমন্বয়ক।
সারজিস আলম লিখেন, আমি বিশ্বাস করি তারা দুজন এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে পুরো দেশের মানুষের প্রাণের দাবিগুলোর প্রতিনিধিত্ব করবে। জনগণের রায় বাস্তবায়ন করতে চাপ প্রয়োগ করবে। আমাদের আস্থার প্রতিবিম্ব হয়ে উঠবে।
তিনি উল্লেখ করেন, ২০২৪ সালের এই অভ্যুত্থানের অন্যতম বড় অর্জন- বাংলাদেশের মানুষ তরুণ প্রজন্মকে নেতৃত্বে দেখতে চায়, দেশ গঠনে সামনের সারিতে প্রত্যাশা করে।
সারজিস লিখেন, এই তরুণদের মধ্যে কেউ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে থাকবে, কেউ রাজপথে থাকবে। কেউ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর নেতৃত্বে এসে নতুন করে ক্যাম্পাসগুলোকে ঢেলে সাজাবে। আবার কেউ হয়তো সংসদে দেশের মানুষের প্রতিনিধিত্ব করবে।
ক্যাম্পাসে ছাত্র সংসদ অথবা জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইঙ্গিত দিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘দেশের মানুষ যদি চায়, নিশ্চয় ভবিষ্যতে কোনো একটি ক্ষেত্রে দেখা হবে ইনশাআল্লাহ’।
নাহিদ ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র। আসিফ মাহমুদ ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের, হাসনাত আব্দুল্লাহ ইংরেজি বিভাগের এবং সারজিস আলম প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ছাত্র। তারা চারজনই ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের।
সম্পাদক: মিজানুর রহমান মিজান প্রকাশক: তানিয়া রহমান